উন্নত দেশগুলো সহায়তা কমিয়ে দেয়ায় গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হার বাড়তে পারে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমনকি এর প্রভাব হতে পারে মহামারির মতোই ভয়ানক। সংস্থাটি আরও জানায়, মাতৃমৃত্যুহার কমাতে বছরের পর বছর ধরে চলমান অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়েছে।
দীর্ঘ দুই দশকে বিশ্বজুড়ে প্রসবজনিত কারণে মৃাতৃ মৃত্যুহার ৪০ শতাংশ কমেছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহজ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী কমে গিয়েছিল মাতৃমৃত্যুর হার। তবে ২০১৬ সালের পর সেই অগ্রগতি কিছুটা ধীর হয়ে যায়। ২০২৩ সালে আড়াই লাখের বেশি নারী গর্ভকালীন জটিলতা বা প্রসবজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার তহবিল বন্ধ করায় বেড়ে যেতে পারে মাতৃমৃত্যুর হার।আশঙ্কার বড় একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাহায্য স্থগিত করা। এছাড়া ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশগুলো সহায়তা সংক্রান্ত বাজেট কমানোর ঘোষণা রয়েছে।
সহায়তা কাটছাঁটের কারণে মাতৃমৃত্যুর প্রভাব মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা কমানোর কারণে এরইমধ্যে অনেক দেশে মা, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় জাতিসংঘ।এতে করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে, কর্মীরা চাকরি হারাচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। জানা যায়, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলের নারীরা।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন